বিধুভূষণ বসু: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
Anupamdutta73 (আলোচনা | অবদান) ট্যাগ: ২০১৭ উৎস সম্পাদনা |
সংশোধন ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা |
||
৪৫ নং লাইন: | ৪৫ নং লাইন: | ||
==প্রাথমিক জীবন== |
==প্রাথমিক জীবন== |
||
২৭ মে, ১৮৭৫ তারিখে বিধুভূষণ বসু ব্রিটিশ ভারতের [[বাংলা|বাংলার]] [[বাগেরহাট জেলা]]র কাঁঠাল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা-মায়ের মৃত্যুর পর তিনি তার আত্মীয়দের সাথে বড় হন।<ref name="shf">{{ |
২৭ মে, ১৮৭৫ তারিখে বিধুভূষণ বসু ব্রিটিশ ভারতের [[বাংলা|বাংলার]] [[বাগেরহাট জেলা]]র কাঁঠাল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা-মায়ের মৃত্যুর পর তিনি তার আত্মীয়দের সাথে বড় হন।<ref name="shf">{{ | = , | = }}</ref> খুলনা জেলার বিষ্ণুপুরে ছিল তাঁর পৈতৃক নিবাস। পরবর্তীকালে তিনি কলকাতার স্থায়ীভাবে [[কলকাতা|কলকাতায়]] বসবাস করেন। |
||
==কর্মজীবন== |
==��র্মজীবন== |
০৩:৫৩, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ
বিধুভূষণ বসু | |
---|---|
জন্ম | কাঁঠাল গ্রাম, বাগেরহাট |
পেশা | সাহিত্যিক, সাংবাদিক, সমাজকর্মী |
ভাষা | বাংলা |
জাতীয়তা | ভারতীয় |
নাগরিকত্ব | ভারতীয় |
বিধুভূষণ বসু একজন সমাজকর্মী, সাহিত্যিক এবং সাংবাদিক ছিলেন।
প্রাথমিক জীবন
[সম্পাদনা]২৭ মে, ১৮৭৫ তারিখে বিধুভূষণ বসু ব্রিটিশ ভারতের বাংলার বাগেরহাট জেলার কাঁঠাল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা-মায়ের মৃত্যুর পর তিনি তার আত্মীয়দের সাথে বড় হন।[১] খুলনা জেলার বিষ্ণুপুরে ছিল তাঁর পৈতৃক নিবাস। পরবর্তীকালে তিনি কলকাতার স্থায়ীভাবে কলকাতায় বসবাস করেন।
কর্মজীবন
[সম্পাদনা]বিষ্ণুপুর এবং মূলঘর বিদ্যালয়ে তিনি শিক্ষালাভ করেন। কিন্তু তারপর দৃষ্টিশক্তি ক্ষীণ হওয়ার কারণে তার পক্ষে আর উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি। বাগেরহাটের জাতীয় বিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে তার কর্মজীবনের শুরু হয়। পরবর্তীতে তিনি কলকাতার শিবপুর বিদ্যালয়ে পাঠদান করেন। সেখানে তার শিক্ষার্থিদের মধ্যে ছিলেন সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় এবং সুশীল কুমার দে।
'সখা ও সাথী' পত্রিকায় তার লেখা প্রকাশের মাধ্যমে তিনি সাহিত্য চর্চা শুরু করেন। এছাড়াও তিনি ১৮৯৯-১৯০২ সাল পর্যন্ত 'সঞ্জীবনী' পত্রিকার সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি স্বদেশী আন্দোলনের সাথে জড়িত ছিলেন এবং ১৯২২ সালে 'দাদা' এবং ১৯২৫ সালে 'ব্রহ্মচারিণী' সহ বেশ কিছু নাটক লিখেন। তার ১৯০৫ সালে রচিত 'মীরকাশিম' এবং সালে রচিত নাটক 'রক্তযজ্ঞ' এবং 'সোনার ফসল' তৎকালীণ ব্রিটিশ সরকার নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল। তার 'শিকার' গল্পটির জন্য তাকে গ্রেফতার করা হয় এবং চার বছরের চার বছরের জন্য তাকে কারারূদ্ধ করা হয়। ১৯৩০ সালে ভারতে জাতীয়তাবাদী আন্দোলনে তিনি অংশ নিলে তাকে আবারো কারারুদ্ধ করা হয়। তার জমিদারকে ব্যাঙ্গ করে লেখা 'ভোটরঙ্গ' কাব্যের জন্য তার উপর মানহানির মামলা করা হয়। তিনি তার গ্রামে একটি উচ্চ বিদ্যালয়, একটি বালিকা বিদ্যালয়, একটি ডাকঘর ও একটি জলাশয়প্রেতিষ্ঠা করেন। তিনি পুকুর নির্মাণের জন্যও অর্থ ব্যয় করেছিলেন।
মৃত্যু
[সম্পাদনা]তিনি তার শেষ বয়েসে সম্পূর্ণ অন্ধ হয়ে পড়েন।[১][২] ১৯৭২ সালের জানুয়ারি মাসের ৩১ তারিখে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।[১] তাঁর অগ্নিবর্ষী লেখনী স্বদেশপ্রেমে উজ্জীবিত স্বাধীনতা সংগ্রামীদের গভীরভাবে অনুপ্রেরণা দান করে।
অবদান
[সম্পাদনা]দেশাত্মবোধে উজ্জীবিত বিধুভূষণ বসু স্বাধীনতা আন্দোলন নিয়ে, কবিতা, উপন্যাস এবং সঙ্গীত রচরা করেন।
- তিনি ১৮৯৭ সালে তার প্রথম উপন্যাস 'লক্ষ্মী মেয়ে' রচনা করেন, যার বিষয় ছিল মূলত পারিবারিক ও সামাজিক সমস্যা।[১] তার রচিত একই ধরনের অন্যান্য উপন্যাস: ১৮৯৮ সালে রটিত 'লক্ষ্মী মা', 'লক্ষ্মী বৌ' এবং 'সতী লক্ষ্মী' (১৮৯৯ সালে হিন্দি এবং গুজরাটি ভাষায় অনূদিত হয়)। এছাড়াও তার অন্যান্য উপন্যাস: 'চারুচন্দ্র' (১৯০০), 'অমৃতে গরল', 'সুভদ্রা' (১৯১২), 'পাপিষ্ঠা' (১৯১৪), 'গোধন', 'কামিনী-কাঞ্চন' (১৯২৫), 'দীপালীর বাজী' (১৯২৬), 'প্রখরা' (১৯২৮), 'কুলের কালি' (১৯২৮), 'নষ্টোদ্ধার, বিষের বাতাস' (১৯২৮), 'জ্যাঠাই মা' (১৯২৮), 'পৌত্রান্ত' (১৯৫৮) 'পরিণাম' (১৯৬১) প্রভৃতি। 'অমৃতে গরল 'উপন্যাসটির জন্য তিনি বিশেষ খ্যাতি অর্জন করে।
- তার রচিত নাটকগুলো হলো: 'মীরকাশিম' (১৯০৫), 'রক্তযজ্ঞ' (১৯১০), 'সোনার ফসল' (১৯১০) , 'দাদা' (১৯২২), 'ব্রহ্মচারিণী' (১৯২৫), 'ভগিনী বিদ্রোহ', 'বিমাতা', 'বাপের ভিটা', 'সুদর্শন', 'দুইবিঘা জমি' ও 'কালাপাহাড়' ইত্যাদি। এদের মধ্যে 'মীরকাশিম' (১৯০৫), 'রক্তযজ্ঞ' (১৯১০) ও 'সোনার ফসল' (১৯১০) নাটক তিনটি তৎকালীন ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়।
- তিনি ১৮৯৯ সাল থেকে ১৯০২ সাল পর্যন্ত 'সঞ্জীবনী' পত্রিকা এবং ১৯০৮ সালে বাগেরহাট থেকে প্রকাশিত 'পল্লীচিত্র' পত্রিকাটিতে সম্পাদনা করতেন।
- ১৯১৪ সালে তার রচিত গল্পগ্রন্থ 'বনমালা' তিনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে উৎসর্গ করেন।
- .তার রচিত দুটি গুরুত্বপূর্ণ চরিতগ্রন্থ হচ্ছে 'মহাত্মা গান্ধীর জীবন চরিত' (১৯১১) এবং 'দেশবন্ধু চরিত্রমহিমা' (১৯২৫)। তিনি স্মৃতিকথা (১৯৫৯) নামে তাঁর একটি আত্মজীবনীও লিখেছেন।
- তিনি শতাধিক গান রচনা করেছেন, যেগুলো গীতিহার (১৯১৭) নামক গ্রন্থে সংকনে করা হয়েছে।
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ গ ঘ সুশান্ত সরকার (২০১২)। "বসু, বিধুভূষণ"। ইসলাম, সিরাজুল; মিয়া, সাজাহান; খানম, মাহফুজা; আহমেদ, সাব্বীর। বাংলাপিডিয়া: বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্বকোষ (২য় সংস্করণ)। ঢাকা, বাংলাদেশ: বাংলাপিডিয়া ট্রাস্ট, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। আইএসবিএন 9843205901। ওএল 30677644M। ওসিএলসি 883871743।
- ↑ Sarakāra, Suśānta; Āhsāna, Nājamula (১৯৯৪)। Origin and Development of Jatra (ইংরেজি ভাষায়)। Lokenatya o Sangskritik Unnayan Kendro। পৃষ্ঠা 23।