মাঝখানে ১০ বছর একসঙ্গে দেখা যায়নি তাদের। বেশ কিছু প্রস্তাব পেলেও সময় ও সুযোগের অভাবে ফিরিয়ে দেন। অবশেষে নির্মাতা বদরুল আনাম সৌদ আবার একসঙ্গে করেছেন জাহিদ হাসান ও সুর্বণা মুস্তাফাকে। Continue reading
News Category: টিভি নাটক
��ুটিং শেষে নাটক হয়ে গেল সিনেমা!
কত অদ্ভুতই ঘটনা ঘটে বিনোদন জগতে। নাটকের জন্য ভেবে রাখা গল্পে ‘মনপুরা’ বানিয়ে মাত করে দেন গিয়াসউদ্দিন সেলিম। অন্যদিকে, কয়েকদিন শুটিংয়ের পর আশিকুর রহমানের মনে হয় ‘গ্যাংস্টার রিটার্নস’ নাটক নয় সিনেমার জন্য উপযুক্ত। সিনেমাটি সমাদৃত না হলেও ঢালিউড পেয়েছে আশিকুরের মত প্রতিশ্রুতিশীল নির্মাতা। Continue reading
ঈদ, হানিফ সংকেত ও পূর্ণিমা
উপস্থাপনায় খ্যাতির শীর্ষে থাকা হানিফ সংকেত দেড় যুগ হল নাটক নির্মাণে হাত দিয়েছেন। তাও আবার হিসেব কষে, বছরে দুই ঈদের জন্য দু’টি। Continue reading
বিটিভিতে আবার তারা…
নব্বইয়ের দশকে মানুষ বিটিভি বলতে বুঝতো বাকের ভাইকে। তবে কাকতালীয়ভাবে বাকের ভাইয়ের ফাঁসির পর বিটিভিতে তেমন একটা ‘দেখা যায়নি’ কালো সানগ্লাস পরা বদমেজাজি চরিত্রের সেই মানুষটাকে। অনেকটা ম্লান হয়েছে ‘মুনা’র মুখটাও। Continue reading
লজ্জাবতী তিশা
ব্যতিক্রমি সব চরিত্রে অভিনয়ের জন্য বরাবরই খ্যাতি আছে তিশার। আসছে ঈদেও এর ব্যতিক্রম হবে না বলেই মনে হচ্ছে। বদ মেজাজি এক মেয়ের, বিয়ের পর হঠাৎ বদলে যাওয়ার কাহিনী নিয়ে নির্মিত ‘লজ্জাবতী লায়লা’ নামের নাটকে অভিনয় করতে দেখা যাবে ‘থার্ড পারসন সিঙ্গুলার’-খ্যাত এ অভিনেত্রীকে। Continue reading
সালমান-মৌসুমীর গানে নাটক
সালমান শাহ ও মৌসুমী অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’-এর গল্প অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে নাটক ‘এখন তো সময় ভালোবাসার’। Continue reading
বড়পর্দার চেয়ে ছোটপর্দা এগিয়ে
বাংলাদেশে ইন্ডাস্ট্রি বলতে ফিল্ম না বুঝিয়ে টেলিভিশন বুঝায়— এমন কথা বলে দারুণ বিতর্কে জড়িয়েছিলেন নুসরাত ফারিয়া। তবে নবাগত এ নায়িকা পরে জানান, তার কথাকে ভুলভাবে লেখা হয়েছে। Continue reading
ছেলের পরিচালনায় ওমর সানী-মৌসুমী (টিজার)
ঈদে ছোট পর্দায় বড় পর্দার তারকারা
বড় পর্দার তারকাদের সচরাচর ছোট পর্দা দেখা যায় না। তবে ঈদের অনুষ্ঠানে বিশেষ করে নাটকে তাদের চাহিদা আকাশচুম্বী। এইবারের ঈদেও তার ব্যতিক্রম হয়নি।
দেখে নেয়া যাক কোন তারকাকে কোন নাটকে দেখা যাচ্ছে। Continue reading
সুয়োরানি-দুয়োরানির পালাবদল
নন্দিত নাট্য নির্মাতা ও চলচ্চিত্র পরিচালক নূরুল আলম আতিক প্রথম আলো পত্রিকায় এক লেখায় নাটক ও চলচ্চিত্র নিয়ে তার ভাবনা ও বর্তমান অবস্থার কথা বলেছেন। গুরুত্বপূর্ণ লেখাটি বিএমডিবি পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে দেয়া হলো-
১.
আজ যে ঘুঁটেকুড়ানি কাল সে রাজরানি। আজ যে রাজা কাল সে পথের ফকির। রূপকথার গল্প নয় শুধু, জীবনেরও। প্রথম আলোর গত ২ জুনে ছাপা দুটি সংবাদ বিনোদন জগতের সুয়োরানি আর দুয়োরানির কথা মনে করিয়ে দিল। এরা সিনেমা আর টেলিভিশন। বিনোদন পাতায় ছিল নাটকের শিল্পী, কলাকুশলী ও প্রযোজকদের এক সম্মিলনের খবর। প্রতিষ্ঠানের কাছে নানান দাবি। নাটক দিন দিন তার অনন্যতা খুইয়ে দর্শক হারাচ্ছে, নাটকের মান নিম্নগামী, বাজেটস্বল্পতা ইত্যাদি ইত্যাদি। সবকিছুর দাম বাড়ছে, কেবল টিভি প্রোডাকশনের বাজেট বাড়ছে না বরং কমছে। ব��ষয়টা কষ্টের, বিষয়টা হতাশার। প্রায় একযুগের একজন নির্মাণকর্মী হিসেবে ব্যথাতুর মনে এই সংবাদ পাঠ করি। আর ভাবি, প্রায় একই ধরনের এতগুলো চ্যানেলের কি আদৌ দরকার ছিল? প্রিয় শিল্পীকে কেন একই ভূমিকায় বারবার দেখতে হয়? পরিচালককে কেন একটাই গল্প বলতে হয় চ্যানেলে-চ্যানেলে! বিনোদন-আলোয় ভুবন ভরিয়ে দেওয়ার বদলে কাজ ফেলে কেন এই সভা করা?
এসবের উত্তর খোঁজার অবকাশ আমাদের হবে তো? সম্মিলনের সংগত দাবির প্রতি সমর্থনের হাত তুলেই বলছি, এই পরিণতির সঙ্গে নিজের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভূমিকাটুকু খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। টেলিভিশনের একটি ভিশন ছিল। সায়মন ড্রিং, ফরহাদ মাহমুদের মতো কিছু ভিশনারি মানুষের কল্যাণে একটি প্রজন্ম শিল্পমনস্ক নাটকের সম্ভাবনাকে সূচিত করতে পেরেছিলেন। চর্চায়, মননে জাগ্রত ছিল দর্শক ও শিল্পীর এই বিনোদন মেলা। আজ কেন সেই দর্শক মুখ ফিরিয়ে নেয়? টেলিভিশন কেন তার ভিশন হারাচ্ছে, তা তলিয়ে দেখার প্রয়োজন আছে। আমাদের টেলিভিশন চলে বিজ্ঞাপনের পয়সায়। সে কারণেই নাটকে আমরা আর জীবনের বিজ্ঞাপন দেখি না। ক্ষণে ক্ষণে বিজ্ঞাপন, নাটকের সারাটা শরীরজুড়ে বিজ্ঞাপন। গল্পে, চরিত্রে, চরিত্রায়ণে, নির্মাণে, সর্বত্র বিজ্ঞাপন। নির্মাণকর্মীকেও তাই হতে হয় শিয়ালের মতো চালাক, একই কুমিরছানাকে বারবার দর্শকের সামনে হাজির করা। শিল্প-নির্মাণের আকাঙ্ক্ষার বীজ ধানটুকু তাকে খেয়ে ফেলতে হয়। স্বপ্নের পুষ্পোদ্যান তাই আগাছায় ভরে থাকে। ভরে থাকে অযোগ্যের অহেতুক ভিড়ে। নির্মম কথাটি হলো, টেলিভিশনে আজ আর ‘ডিরেক্টর’-এর প্রয়োজন পড়ে না, দরকার শুধু একজন ‘অ্যারেঞ্জার’-এর।
কেন হলো এসব? টেলিভিশনের কর্তব্যক্তিরাই বা কারা? কী তাদের অভিলাষ? প্রিয় সহকর্মীরা, অভিযোগের তর্জনী অন্যের দিকে তোলার আগে আয়নায় নিজের মুখখানি একবার দেখে নিন। জেনে নিন, সর্বনাশের এই উৎসবে আপনার নিজের ভূমিকাটুকু। জানি, বিষয়টা এত সহজ নয়। জটিল বলেই তাকে পাশ কাটিয়ে কোন সমাধানও সম্ভব নয়। ব্যক্তিগত লাভের বর্তমানটুকু সামলে নেওয়ার রীতি বন্ধ হোক, সম্মিলনের আকাঙ্ক্ষা হোক আগামীর, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের একটি সুন্দর বিনোদন ইন্ডাস্ট্রি গড়ে নেওয়ার শুভকামনায়। ভবিষ্যৎ বিনোদন টেকনোলজির যে ধরনের পরিবর্তন সারা দুনিয়ায় ঘটতে যাচ্ছে, তার ইশারা থেকে বলছি, টেলিভিশনের ভবিষ্যৎ ভালো। টেলিভিশনের কর্তারা নিশ্চয়ই সে খবর জানেন।
২.
সার্কাসের বাঘ বুড়িয়ে গেলে ভয় পায় না ছোট্ট শিশুটিও। এদিকে নিত্যনতুন চমক নিয়ে হাজির ��চ্ছেন নবীন ম্যাজিশিয়ান। এবার বলছি দুয়োরানির কথা। একই দিনে মুদ্রিত আরেকটি খবর, সিনেমার নতুন প্রস্তাবনা। কয়েক শ ডিজিটাল সিনেমা হল নির্মাণের প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের কর্ণধার আবুল খায়ের। আরও খবর হলো—নবীন নির্মাতাদের সিনেমায় অর্থায়ন। প্রতিবছর প্রায় কুড়িটি ছবি নির্মানের আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করলেন তিনি। বানাবেন এ দেশের যেকোনো যোগ্য তরুণ নির্মাতা। এ দেশের সিনেমার দীর্ঘ সংকটের কালে বেঙ্গলের এই প্রকল্পটি নির্মাতা, দর্শক সবার জন্যেই একটি বড় খবর। প্রয়োজনীয় এই উদ্যোগকে এ দেশের অগুনতি নবীন নির্মাতাদের পক্ষ থেকে সাধুবাদ জানাই। এর সাফল্য কামনা করি। তবে শুভকামনাতেই সীমিত থাকলে চলবে না, আবারও মনে রাখা প্রয়োজন নিজের ভূমিকাটুকু। কিন্তু, নবীন নির্মাতারা, এত যে হাহাকার করি টাকা নাই টাকা নাই, প্রোজেকশন সিস্টেম নাই, প্রযোজক নাই…এখন সিনেমাটা হবে তো? হতে হবে। কারণ, এটা সময়ের দাবি। শুধু ফরম্যাট নিয়ে কিছু টার্মস আর টার্মিনোলজি আউড়ে ছবি বানাচ্ছি—এই ভঙ্গিতেই যেন ফুরিয়ে না যায় সব উদ্যম। ডিজিটাল টেকনোলজির ব্যাপারটা স্পষ্ট করে বুঝে নেওয়ার সঙ্গে জেনে রাখা প্রয়োজন, আমাদের এতদিনকার সিনেমার অর্জন-বিসর্জনের সবটা।
নবীন নির্মাতা আপনি প্রস্তুত তো? নিজের পুুরোনো কথাটা আবার বলি—
প্রথমত: সময় নাই।
দ্বিতীয়ত: এখনই সময়।
তৃতীয়ত: তুমি না থাকলেও ব্যাপারটা ঘটবে, তবু তোমাকেই চাই।
চতুর্থত: আসুন নতুন-ছবি-নির্মাতা, ফের পায়ে পায়ে রচনা করে নিই নিজস্ব পথটুকু।
সুত্র: প্রথম আলো