ভুবন মাঝি ()

৮.০
আপনার রেটিঙঃ
- / ১০ X
রেটিঙঃ ৮.০/১০, ভোট দিয়েছেন ৪ জন | সমালোচক রেটিঙঃ
দর্শক মন্তব্যঃ ১ টি

ছবি এবং ভিডিও

প্রধান কলাকুশলী

কাহিনী ফাখরুল আরেফীন
চিত্রনাট্য ফাখরুল আরেফীন
সংলাপ ফাখরুল আরেফীন
সঙ্গীত পরিচালক কালিকাপ্রসাদ ভট্টাচার্য
সুরকার -
গীতিকার -
সকল কলাকুশলী

অন্যান্য তথ্যাবলী

মুক্তির তারিখ৩ মার্চ, ২০১৭
ফরম্যাট ডিজিটাল
রং রঙিন
দেশবাংলাদেশ
ভাষাবাংলা

ট্রিভিয়া

  • ভুবন মাঝি বাংলাদেশ সরকারের আর্থিক অনুদানে (২০১৪-১৫) নির্মিত চলচ্চিত্র।
সব ট্রিভিয়া দেখুন →

১টি রিভিউ

  1. “এক টকেটে দুই ছবি” বলে একটা বাজে ব্যাপার বাংলা সিনেমার ইতিহাসে আছে। ভুবন মাঝি তে এক টিকেটে তিনটি ছবি দেখছিলাম। তিনটা সময়। তিন সময় নিয়ে মোটামূটি একটা জট পাকায় গেছিলো প্রথমার্ধে। সময়ের সাথে সেটা খুলেছেও পরিচালক।

    কারিগরি বিষয়ে খুব একটা মুন্সিয়ানা দেখাবার চেষ্টা করেন নি। তার মুল চিন্তা ছিল গল্প। সেটা বেশ ভাল ভাবেই ফুটে উঠেছে।

    একটা প্রেমের গল্প। তার সাথে জড়িয়ে আছে একাত্তর।
    উত্তাল সে সময়ে এক যুবকের প্রেম। এক যুবতীর সাথে। সে সময়ের আগুন নহিরকে স্পর্শ করে না। তাকে বরং বেশি টানে থিয়েটার আর সেই যুবতী। ফরিদা। কিন্তু লালন ভক্ত সে ছেলেও দেশের ডাক অগ্রাহ্য করতে পারে না। জড়িয়ে পরে আন্দলনে। কিন্তু আন্দলন করা আর গ্রেনেড চার্জ করে কাউকে হত্যা করার মাঝে বিশাল পার্থক্য আছে। সেই বিশাল পার্থক্যটা তার কাছে আরো বড় হয়ে ধরা দেয়। হাজার হোক লালন, নজরুল, রবিন্দ্রনাথ তার অন্তরে।
    কেবল ফরিদার প্রতি ভালবাসাই তাকে ঘৃণা করতে শিখিয়েছে। মানুষ আর জানোয়ারের পার্থক্য করতে শিখিয়েছে।
    যুদ্ধশেষে অনেকের মত নহিরও ফিরে পায় নি তার ফরিদাকে।
    নহিরের একতারার ছিলা ফরিদার স্পর্শ চেয়েছে কিন্তু সে একতারায় ফরিদা কখনো টংকার দেয় নি।
    নহির কিন্তু বড় হয়েছে সাধক পরিবারে।

    সিনেমায় সাম্প্রদায়িকতার বিষয়টিও উঠে এসেছে। আবার এক মাদ্রাসার বড় হুজুরের অসাম্প্রদায়িক মনভাবও ফুটে উঠেছে।

    সিনেমার সবচাইতে চমৎকার বিষয় হল শব্দ। আবহ সঙ্গীত দারুন ভাবে ছুয়ে যায়। সময় আর ঘটনা আরো বেশি সহজে অনুভব করা গেছে আবহ এর জন্য।
    আর “আমি তোমারই নাম গাই” গানটা একটা অন্য মাত্রা যোগ করেছে সিনেমায়।

    মিজান, পরমব্রত, মামুনুর রশীদ সব সময়ই ভাল অভিনয় করেন। অপর্ণা ঘোষ নিজেকে প্রমান করতে পেরেছেন। ফরিদা জীবন্ত হয়ে উঠেছিল।
    মুল চরিত্র গুলো ছাড়া বাকি সব চরিত্র বেশ দুর্বল লেগেছে। সংলাপ অনেক যান্ত্রিক ছিল।
    মেকআপ এর কাজ গুলোও খুব একটা মনকাড়ে নি। এই দিকটা আরো যত্ন নেয়া দরকার ছিল।

    চিত্রগ্রহন সাদামাটাই ছিল। কিন্তু কয়েকটা দৃশ্য সত্যিই অসাধারন হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের উত্তেজনা খুব সহজেই অনুভব করা গেছে।

    বাংলা চলচ্চিত্রের মান যে দিনে দিনে বাড়ছে সেটা স্বিকার কর‍তেই হবে।

রিভিউ লিখুন

আরও ছবি